রবীন্দ্রনাথকে মেনেও তাকে ছাপিয়ে অন্য কোনো না-মানার দেশে চলে যান প্রেমিক কবি অভী। তার কবিতা বলয়ে প্রভাব ও প্রভাবের ঊর্দ্ধে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ। ‘জুঁই, তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে!’(একগুচ্ছ জুঁই ২৬) কী অবলীলায় রবীন্দ্র উচ্চারণকে একাত্ম করে নেন তিনি! কারণ অভী চৌধুরী সকালে রবীন্দ্রনাথের জন্য ডাল রান্না করেন, দুপুরে জুঁইদি এসে খেয়ে চলে যায়, ‘বিকেলে জুঁইদি এল না- সারাদিন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নিষ্ফল ঘরে বসে কাটলো!’ (একগুচ্ছ জুঁই ৩০) রবীন্দ্রনাথও নিষ্ফল হয়ে যান জুঁইদি না এলে। জুঁইদির কথা আবার রবীন্দ্র বয়ানে পেয়ে যাই, ‘- সমূহ প্রেমিকা, জুঁই, তুমি কি কেবলই ছবি শুধু পটে লিখা?’ (একগুচ্ছ জুঁই ৩৭)। জুঁইদির কথা পরে হবে, আগে কবি অভী’র খামখেয়ালির কথা হোক। প্রেম ও প্রেমের কবিতায় তিনি জাগলিং করেন শব্দ নিয়ে, পাওয়া-না-পাওয়া-পরম পাওয়ার হাওয়া এসে উল্টেপাল্টে দেয়া তার কবিতার জগত। কখনো তিনি ভীষণ কলোকিয়াল, কখনো ক্যাজুয়াল, কখনো ভয়ংকর একগুয়ে। এইসব মিলিয়ে তার প্রেমের কবিতার মেজাজটাই আলাদা।
‘বললাম, আমি অভী, আপনার ছাত্র;
মনে বললাম- টিচার, তুমি কি এখনও আমার কথা ভাবো?’
- কবিতা মন্ডল ৩
কবি অভী চৌধুরী এখানে নিজেই কবিতার বিষয় ও চরিত্র। সেই সঙ্গে টিচারকে প্রকাশ্যে আপনি আর মনে মনে তুমি বানিয়ে কবিতার শরীরে এনে দেন অন্যমাত্রা। এই অন্য মাত্রাটাই বোধহয় তার কবিতার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। যেখানে মনে হয় যুগ যুগ ধরে আমরা অনেকে মিলে একটি কবিতা লিখে যাচ্ছি সেখানে অভী অন্যতর। এমনকি যেখানে পুরনো অনুষঙ্গ আসে সেখানেও সে নতুন, অন্য রকম।
‘স্মৃতির সমস্ত অক্ষর মুছে যায়, কবিতা
তুমি শুধু থাকো- দিনের আলোর গভীরে
রাতের আর একটি তারাও থাকে না।’
- কবিতা মন্ডল ২
রবীন্দ্রনাথকে মেনেও তাকে ছাপিয়ে অন্য কোনো না-মানার দেশে চলে যান প্রেমিক কবি অভী। তার কবিতা বলয়ে প্রভাব ও প্রভাবের ঊর্দ্ধে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ। ‘জুঁই, তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে!’(একগুচ্ছ জুঁই ২৬) কী অবলীলায় রবীন্দ্র উচ্চারণকে একাত্ম করে নেন তিনি! কারণ অভী চৌধুরী সকালে রবীন্দ্রনাথের জন্য ডাল রান্না করেন, দুপুরে জুঁইদি এসে খেয়ে চলে যায়, ‘বিকেলে জুঁইদি এল না- সারাদিন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নিষ্ফল ঘরে বসে কাটলো!’ (একগুচ্ছ জুঁই ৩০) রবীন্দ্রনাথও নিষ্ফল হয়ে যান জুঁইদি না এলে। জুঁইদির কথা আবার রবীন্দ্র বয়ানে পেয়ে যাই, ‘- সমূহ প্রেমিকা, জুঁই, তুমি কি কেবলই ছবি শুধু পটে লিখা?’ (একগুচ্ছ জুঁই ৩৭)। জুঁইদির কথা পরে হবে, আগে কবি অভী’র খামখেয়ালির কথা হোক। প্রেম ও প্রেমের কবিতায় তিনি জাগলিং করেন শব্দ নিয়ে, পাওয়া-না-পাওয়া-পরম পাওয়ার হাওয়া এসে উল্টেপাল্টে দেয়া তার কবিতার জগত। কখনো তিনি ভীষণ কলোকিয়াল, কখনো ক্যাজুয়াল, কখনো ভয়ংকর একগুয়ে। এইসব মিলিয়ে তার প্রেমের কবিতার মেজাজটাই আলাদা।
‘এই তো, আমার মুড়ি দিয়ে খামাখা চা ভিজিয়ে খাওয়া,
এবং তোমার উড়ে যাওয়া, আর পতঙ্গের সান্নিধ্য পাওয়া-
প্রেম এই তো, আর কিছু না’
- প্রেম ও পতঙ্গ
রবীন্দ্রনাথকে মেনেও তাকে ছাপিয়ে অন্য কোনো না-মানার দেশে চলে যান প্রেমিক কবি অভী। তার কবিতা বলয়ে প্রভাব ও প্রভাবের ঊর্দ্ধে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ। ‘জুঁই, তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে!’(একগুচ্ছ জুঁই ২৬) কী অবলীলায় রবীন্দ্র উচ্চারণকে একাত্ম করে নেন তিনি! কারণ অভী চৌধুরী সকালে রবীন্দ্রনাথের জন্য ডাল রান্না করেন, দুপুরে জুঁইদি এসে খেয়ে চলে যায়, ‘বিকেলে জুঁইদি এল না- সারাদিন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নিষ্ফল ঘরে বসে কাটলো!’ (একগুচ্ছ জুঁই ৩০) রবীন্দ্রনাথও নিষ্ফল হয়ে যান জুঁইদি না এলে। জুঁইদির কথা আবার রবীন্দ্র বয়ানে পেয়ে যাই, ‘- সমূহ প্রেমিকা, জুঁই, তুমি কি কেবলই ছবি শুধু পটে লিখা?’ (একগুচ্ছ জুঁই ৩৭)। জুঁইদির কথা পরে হবে, আগে কবি অভী’র খামখেয়ালির কথা হোক। প্রেম ও প্রেমের কবিতায় তিনি জাগলিং করেন শব্দ নিয়ে, পাওয়া-না-পাওয়া-পরম পাওয়ার হাওয়া এসে উল্টেপাল্টে দেয়া তার কবিতার জগত। কখনো তিনি ভীষণ কলোকিয়াল, কখনো ক্যাজুয়াল, কখনো ভয়ংকর একগুয়ে। এইসব মিলিয়ে তার প্রেমের কবিতার মেজাজটাই আলাদা।
By অভী চৌধুরী
Category: কবিতা
‘বললাম, আমি অভী, আপনার ছাত্র;
মনে বললাম- টিচার, তুমি কি এখনও আমার কথা ভাবো?’
- কবিতা মন্ডল ৩
কবি অভী চৌধুরী এখানে নিজেই কবিতার বিষয় ও চরিত্র। সেই সঙ্গে টিচারকে প্রকাশ্যে আপনি আর মনে মনে তুমি বানিয়ে কবিতার শরীরে এনে দেন অন্যমাত্রা। এই অন্য মাত্রাটাই বোধহয় তার কবিতার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। যেখানে মনে হয় যুগ যুগ ধরে আমরা অনেকে মিলে একটি কবিতা লিখে যাচ্ছি সেখানে অভী অন্যতর। এমনকি যেখানে পুরনো অনুষঙ্গ আসে সেখানেও সে নতুন, অন্য রকম।
‘স্মৃতির সমস্ত অক্ষর মুছে যায়, কবিতা
তুমি শুধু থাকো- দিনের আলোর গভীরে
রাতের আর একটি তারাও থাকে না।’
- কবিতা মন্ডল ২
রবীন্দ্রনাথকে মেনেও তাকে ছাপিয়ে অন্য কোনো না-মানার দেশে চলে যান প্রেমিক কবি অভী। তার কবিতা বলয়ে প্রভাব ও প্রভাবের ঊর্দ্ধে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ। ‘জুঁই, তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে!’(একগুচ্ছ জুঁই ২৬) কী অবলীলায় রবীন্দ্র উচ্চারণকে একাত্ম করে নেন তিনি! কারণ অভী চৌধুরী সকালে রবীন্দ্রনাথের জন্য ডাল রান্না করেন, দুপুরে জুঁইদি এসে খেয়ে চলে যায়, ‘বিকেলে জুঁইদি এল না- সারাদিন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নিষ্ফল ঘরে বসে কাটলো!’ (একগুচ্ছ জুঁই ৩০) রবীন্দ্রনাথও নিষ্ফল হয়ে যান জুঁইদি না এলে। জুঁইদির কথা আবার রবীন্দ্র বয়ানে পেয়ে যাই, ‘- সমূহ প্রেমিকা, জুঁই, তুমি কি কেবলই ছবি শুধু পটে লিখা?’ (একগুচ্ছ জুঁই ৩৭)। জুঁইদির কথা পরে হবে, আগে কবি অভী’র খামখেয়ালির কথা হোক। প্রেম ও প্রেমের কবিতায় তিনি জাগলিং করেন শব্দ নিয়ে, পাওয়া-না-পাওয়া-পরম পাওয়ার হাওয়া এসে উল্টেপাল্টে দেয়া তার কবিতার জগত। কখনো তিনি ভীষণ কলোকিয়াল, কখনো ক্যাজুয়াল, কখনো ভয়ংকর একগুয়ে। এইসব মিলিয়ে তার প্রেমের কবিতার মেজাজটাই আলাদা।
‘এই তো, আমার মুড়ি দিয়ে খামাখা চা ভিজিয়ে খাওয়া,
এবং তোমার উড়ে যাওয়া, আর পতঙ্গের সান্নিধ্য পাওয়া-
প্রেম এই তো, আর কিছু না’
- প্রেম ও পতঙ্গ